শুক্রবার, ০২ মে ২০২৫, ০১:৫৪ পূর্বাহ্ন
স্টাফ রিপোটোর : সাভারে চলছে গণপরিবহনে নৈরাজ্য । যাত্রী নিয়ে টানাটানি, মাঝরাস্তায় যাত্রী নামিয়ে দেওয়া, যত্রতত্র বাস থামিয়ে যাত্রী তোলা, যাত্রী পেতে দুই বাসের রেষারেষিসহ সব নৈরাজ্য চলছে চন্দ্রা থেকে গাবতলি ,বাইপাইল থেকে আব্দুল্লাহপুর,বেড়িবাধ হয়ে মিরপুর সড়কগুলোতে। পাশাপাশি স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করা হচ্ছে না কোনো বাসেই। প্রতিটি স্টপেজেই এখন এই অভিন্ন চিত্র।
গত বুধবার সকালে নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কের বাইপাইল এলাকায় বাসচাপায় মারা যান নাকিব আহমেদ। ইতিহাস ও শতাব্দী পরিবহনের বাসের রেষারেষিতেই সড়কে প্রাণ দিতে হয়েছে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনির্ভাসিটিতে সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের স্নাতক পর্বের শিক্ষার্থী নাকিবকে। যাত্রীবাহী বাসের এসব বিশৃঙ্খল আচরণের কারণে সাভারের সড়কগুলোতে যানজট বেড়ে চলছে।
বাইপাইল থেকে আব্দুল্লাহপুর ও মিরপুর সড়কে শতাব্দী ,আশুলিয়া পরিবহন,মোহনা, আলিফসহ সব যাত্রীবাহী বাসগুলো যাত্রী নিয়ে টানাটানি, মাঝরাস্তায় যাত্রী নামিয়ে দেওয়া, যত্রতত্র বাস থামিয়ে যাত্রী তোলা, যাত্রী পেতে রেষারেষিসহ সব রকম নৈরাজ্য চালিয়ে যাচ্ছে। অপরদিকে চন্দ্রা, বাইপাইল থেকে নবীনগর ,গাবতলি সড়কে ইতিহাস,ওয়েলকাম,লাব্বাইক,সাভার পরিবহন,গ্রামীন পলাশ ,পরিবহনের চিত্র একইরকম যাত্রী পেতে রেষারেষিসহ সব রকম নৈরাজ্য চালিয়ে যাচ্ছে।
রাজধানীর এমইএস মোড়ে ২০১৮ সালের ২৯ জুলাই বাসচাপায় শহীদ রমিজ উদ্দিন কলেজের দুই শিক্ষার্থী নিহত হলে দেশব্যাপী নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন গড়ে ওঠে। তখন সরকার নতুন সড়ক পরিবহন আইন পাস করে। কিন্তু পরিবহন মালিক-শ্রমিকদের চাপে গত দুই বছরেও সেই সড়ক পরিবহন আইন প্রয়োগ করতে পারছে না সরকার। সংশ্লিষ্টরা বলেছেন, এখন সড়কে যানবাহনের বিরুদ্ধে মামলা ও জরিমানার সংখ্যা আগের চেয়ে অনেক কম। ফলে অনিয়ম, নৈরাজ্য অনেক বেশি। গণপরিবহন মালিক-শ্রমিকরা কোনো আইনের তোয়াক্কা করছেন না। আলোচিত কোনো দুর্ঘটনার পর সাময়িক কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হলেও সড়ক নৈরাজ্যের দীর্ঘস্থায়ী কোনো সমাধানের পথে নেই কেউই।
দৈনিকবিডিনিউজ৩৬০/এসএস